খাদ্য ও পুষ্টি শিক্ষার গুরুত্ব

আপনি কি  জানেন খাদ্য ও পুষ্টি শিক্ষার গুরুত্ব কতটুকু। যদি না জানেন তাহলে আজকের এই ভিডিওটি আপনাআপনি র জন্য। খাদ্য ও পুষ্টি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম খাদ্য ছাড়া মানুষ  বাঁচে না খাদ্য ও পুষ্টির গুরুত্ব সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে সম্পূর্ণ তথ্য আলোচনা করার চেষ্টা করব ।
খাদ্য-ও-পুষ্টি-শিক্ষার-গুরুত্ব



চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে সঠিক কিছু  তথ্য । আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্য আমাদের মৌলিক চাহিদার অন্যতম  গুরুত্বপূর্ণ প্রধান বিষয়। 

পোস্ট সূচিপত্র ঃ খাদ্য ও পুষ্টি শিক্ষার গুরুত্ব

বেঁচে থাকার জন্য আমাদের খাদ্যের প্রয়োজন। তাই খাদ্য ও পুষ্টি শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। খাদ্য থেকে আমরা দেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেয়ে থাকি। এবং পুষ্টি একটি জৈবিক প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় আমাদের দেহের পুষ্টি সরবরাহের অন্যতম উৎস হচ্ছে খাদ্য। আমাদের দেহের পুষ্টি সরবরাহের অন্যতম উৎস হচ্ছে খাদ্য। এটি আমাদের দেহের ক্ষয় পূরণ করে বৃদ্ধি সাধন করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সর্বোপরি দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে।

আপনি যদি সারা জীবন সুস্থ থাকতে চান আপনার শরীর ও মন ভালো রাখতে চান তাহলে খাদ্য ও পুষ্টির  শিক্ষার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো আপনাকে জানতে হবে। সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে পারি। খাদ্যের সকল ধরনের পুষ্টিগুণ  আমাদের সকলের জানা খুবই জরুরী তাহলে বুঝতেই পারছেন আমাদের জন্য খাদ্য পুষ্টির গুরুত্ব সম্পর্কে জানা কতটা জরুরি।   

সুস্থ দেহ ও  মন গঠন 

সুস্থ দেহ ও মন গঠনের জন্য প্রথমে আপনাকে খাদ্য ও পুষ্টি শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে  প্রয়োজনীয়তা জানতে হবে। খাদ্য গ্রহণের পর খাদ্যনালীতে এর উপাদান গুলো শোষিত হয়ে কোষে পৌঁছায়। পরবর্তীতে শরীর শক্তি উৎপাদন গঠন ও বৃদ্ধি সাধন ক্ষয় পূরণ ইত্যাদি কাজগুলো খাদ্য সম্পন্ন করে খাদ্য আমাদের দেহে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে সেগুলো আসুন ধাপে ধাপে এগুলো জেনে নিই।
  • দেহের গঠন ও বৃদ্ধি সাধন।
  • দেহের ক্ষয় পূরণ।
  • তাপ ও শক্তি উৎপাদন।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি। 
  • দেহের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ।   
আপনি যদি এই বিষয়গুলো আপনার শরীরের জন্য সঠিক তথ্য নিন খাদ্য ও পুষ্টি শিক্ষার গুরুত্ব তাহলে আপনার সুস্থ থাকার সহজ উপায় হয়ে দাঁড়াবে। দেহ ও মন গঠনের জন্য অবশ্যই আপনাকে  এই বিষয়গুলোর সঠিক তথ্য জানতে হবে। তাহলে আপনার দেহ ও মন দুটোই ভালো থাকবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের খাদ্য ও  শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে হবে। যেমন  প্রোটিন, ভিটামিন ও ধাতব লবণ  জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করলে আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের এই ধরনের খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। প্রোটিন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সকল বয়সীদের এ সকল খাদ্য গ্রহণ করা খুবই জরুরী।

চারপাশের পরিবেশের রোগ জীবাণুগুলো সহজে দেহে প্রবেশ করে আমাদের রোগাক্রান্ত করে তুলতে পারে। শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এই রোগ জীবাণুকে আমাদের শরীরে প্রবেশে বাধা দেয়। তাই আমাদের প্রোটিন, ভিটামিন, ধাতব লবণ এ ধরনের খাদ্য গ্রহণ করতে হবে তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের খাদ্য অভ্যাস মেনে চলতে হবে।

খাদ্য নিরাপত্তা ও সচেতনতা

খাদ্যের নিরাপত্তা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই সচেতনতা হওয়া জরুরী তাই খাদ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। চলুন নিচে এই বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে 
  • খাদ্যের গুণগত মান বা পুষ্টি মূল্য বজায় রাখা।
  • খাদ্যের বর্ণ ও গন্ধ অবিকৃত রাখা ।
  • খাদ্যের জীবাণু বৃদ্ধি ও এনজাইমের ক্রিয়া প্রতিহত করা।

  • যে কোন খাবার সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে।
  • ঠান্ডা জায়গায় খাবার সংরক্ষণ করতে হবে যেমন রেফ্রিজারেটরে এগুলোর মাধ্যমে খাবার সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
খাদ্য সম্পর্কে সচেতন না থাকলে আমার  সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়বো। তাই আমাদের সকলের খাদ্য নিরাপত্তা ও সচেতনতা সম্পর্কে জানতে হবে। এভাবে আমরা সুস্থ থাকার জন্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যের নিরাপত্তা ও সচেতন হতে পারবো। পরিষ্কার পানি দিয়ে খাবার রান্না করতে হবে। সবজি ও অন্যান্য খাবার ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। হাত ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে। খাবারের থালা বাসন পরিষ্কার রাখ। ও সুস্বাস্থ্যকর খাবার বেছে খাওয়া

খাদ্যের প্রধান উপাদান ও তার উৎস

 রাসায়নিক প্রকৃতি অনুযায়ী সকল খাদ্য উপাদানকে ছয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা; শর্করা, প্রোটিন, স্নেহ, ভিটামি, খনিজ লবণ এবং পানি এগুলো খাদ্যের প্রধান উপাদান ও তার উৎস। দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যের মধ্যে  শতকরা ৬০ থেকে ৮০ ভাগ আমরা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য থেকে পেয়ে থাকি। কিন্তু দীর্ঘদিন যদি এই পরিমাণ থেকে হাইড্রেট জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা হয় তবে  শরীরে এর অভাব ও বিভিন্ন উপসর্গ সৃষ্টি হয় ।

খাদ্যের এই ছয়টি উপাদান গ্রহণ করলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে কর্মক্ষম রাখে। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সকলেরই উচিত খাদ্যের এই ছয়টি উপাদান সঠিক মাপে খাদ্য তালিকায় রাখা। তাহলে বুঝতেই পারছেন খাদ্যের এই ছয়টি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

পুষ্টিকর খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা 

জীবন চক্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ সময় যেমন-শিশুকাল ,শৈশবকাল , কৈশোর ,   গর্ভাবস্থায় বিশেষ প্রয়োজনীয় পরিমিত ও নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ প্রয়োজন। বয়স শারীরিক অবস্থা ও দৈহিক কার্যক্রম অনুযায়ী খাদ্য চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত বা কম কিংবা অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণ অপুষ্টি জনিত রোগের কারণ হতে পারে। তাই জীবনের সকল পর্যায়ে আমাদের পুষ্টিকর নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করা উচিত ।

পুষ্টিকর খাবার খেলে আমাদের শরীরে গঠন, বৃদ্ধি, ও ক্ষয় পূরণ এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য শারীরিক শক্তি ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অনেক উপকার নিয়ে আসে পুষ্টিকর খাদ্য। তাহলে আমরা বুঝতেই পারছি পুষ্টিকর খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা অনেক।

খাদ্য পুষ্টি ও  পরিপাক

বেঁচে থাকার জন্য আমাদের খাদ্য ও পুষ্টির প্রয়োজন। খাদ্য ও পুষ্টির মাধ্যমে মানুষ স্বাভাবিকভাবে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে। তাই আমাদের সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। এই খাদ্য জটিল অনুগুলো বিভাজিত হয়ে বা ভেঙে দেহের উপযোগী ও বিশেষযোগ্য সরল ও ক্ষুদ্রতর অনুতে পরিণত হয় তাকে পরিপাক বলে যন্ত্রটি পৌষ্টিক নালী ও পুষ্টি গ্রন্থি নিয়ে গঠিত। তাই বলা যায় যে আমাদের শরীরে একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মলদ্বার পর্যন্ত মিশ্রিত নালীকে পৌষ্টিক নালী বলে এই নালির ছয়টি অংশ রয়েছে নিচে এগুলো দেওয়া হলো-
  1. মুখ বিবর
  2. গলবিল
  3. অন্যনালি
  4. পাকস্থলী
  5. ক্ষুদ্রান্ত এবং
  6. বৃহদন্ত্র 
এগুলো পুষ্টিক নালীর ছয়টি অংশ। তাই বলা যায় যে প্রক্রিয়ায় খাদ্য বস্তুর বৃহত্তর জটিল অণুগুলো ভেঙে দেহের উপযোগী  বিশোষণযোগ্য সরল ও ক্ষুদ্রতম অনুতে পরিণত হয় তাকে পরিপাক বলে।

পুষ্টি

পুষ্টি হল মানব জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যা মানবদেহে ক্ষয় পূরণ বৃদ্ধি সাধন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে আমরা বিভিন্নভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে পারি। সুষম খাদ্য গ্রহণ করে আমরা আমাদের শরীরকে কর্মক্ষম ও সুস্থ রাখতে পারি। পুষ্টি শিক্ষা কয়েকটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য থাকতে হবে। যথা-
  • ও পুষ্টির মারাত্মক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো। যেমন-ভিটামিন এ এর অভাবে অন্ধত্ব আইনের অভাবে গলগন্ড ইত্যাদি ।
  • প্রচলিত খাদ্য অভ্যাস থেকে পুষ্টিকর খাদ্য নির্বাচন স্বল্প মূল্য শাকসবজি ও ডাল জাতীয় খাদ্যের সংস্করণ খাদ্য তৈরি কৌশল।
  •  মা ও শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো-যেমন। শিশুর জন্য পুষ্টিকর ও পরিপূরক খাদ্যের গুরুত্ব ।
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত পরিবেশে খাদ্য পরিবেশন করার গুরুত্ব উপলব্ধি করানো।
পুষ্টিকর খাদ্য হচ্ছে ওই সকল খাদ্য যাতে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার গোষ্ঠী উপাদান সঠিক পরিমাণে থাকে এ উপাদান গুলোর মধ্যে শর্করা স্নেহ প্রোটিন দেহের শক্তি উৎপাদন করে নতুন কোষ কলা গঠন প্রীতি সাধন এবং কর্মক্ষম রাখে।

খাদ্যের কাজ কি

মানব জীবনে বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অপরিহার্য বিষয়। খাদ্য মানবদেহে বিভিন্ন ভাবে কাজ করে থাকে। খাদ্যের প্রধান কাজ হলো  শরীরকে কর্মক্ষম রাখা, রোগ প্রতিরোধ করা ও ক্ষয় পূরণ করা। খাদ্যের মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরের সকল প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকি। তাহলে বুঝতে পারছি না খাদ্যের কাজ সম্পর্কে জানা আমাদের জীবনের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

একজন স্বাভাবিক মানুষ খাদ্য ও পানি ছাড়া মাত্র দুই থেকে পাঁচ দিন বেঁচে থাকতে পারে। খাদ্য ও পানি ছাড়া মানব জীবনে বেঁচে থাকা সম্ভব নয় । তাই খাদ্য আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের সঠিক নিয়মে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা উচিত । তাহলে সুস্থ ভাবে অনেকদিন বেঁচে থাকা সম্ভব।

শেষ কথাঃ খাদ্য ও পুষ্টি শিক্ষার গুরুত্ব


এ পর্যন্ত আমরা খাদ্য ও পুষ্টি শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে  জানলাম । আপনি যদি সারা জীবন সুস্থ সবল কর্মক্ষম শরীরকে প্রতিরোধ করতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য  আশা করি অনেক উপকারে আসবে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে খাদ্য পুষ্টি শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানলে খুব সহজেই অনেক দিন পর্যন্ত সুস্থ থাকা সম্ভব। আর এজন্য প্রয়োজন আপনার জন্য আজকের এই পোস্টটি। আমরা এখানে খাদ্য ও পুষ্টি শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সকল তথ্য আলোচনা করেছি। আপনাকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে এই সকল তথ্যগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

আশা করি আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনার খাদ্য ও পুষ্টি  সম্পর্কে সকল সমস্যার সমাধান এই একটি পোস্টের মাধ্যমেই হয়ে যাবে। আপনাকে সব সময় একটা কথা  মনে রাখতে হবে সেটি হলো সুস্থ সবল কর্মক্ষম রোগ  প্রতিরোধর জীবনের জন্য খাদ্য ও পুষ্টির সকল তথ্য সঠিক নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলে আপনি সারাজীবন সুস্থ সবল ও কর্মক্ষম জীবন যাপন করতে পারবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন খাদ্যে উপস্থিত শিক্ষার গুরুত্ব কতটুকু।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url