গ্রীষ্মকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিতে হবে |
বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে গ্রীষ্মকাল একটি বড় সমস্যা । প্রচন্ড রোদে আমাদের শরীরের ত্বক নষ্ট করে দেয় এজন্য আমি এই সময় আমাদের কি করনীয় এবং ত্বক চর্চা নিয়ে আজকের এই পোস্ট।
কি ধরনের খাবার খেলে গরম কম লাগবে
বেঁচে থাকতে হলে তো প্রতিদিন খাবার খেতেই হবে । কিন্তু গ্রীষ্মকালীন সময় খাবার বুঝে শুনে খেতে হবে কারণ অতিরিক্ত গরম আমাদের ত্বক নষ্ট করে দেয়। গ্রীষ্মকালের সময়ে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ লিটার পানি খেতে হবে প্রয়োজনে স্যালাইন বা লেবু পানি বানিয়ে খেতে হবে। টক জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। গরম খাবার গুলো ঠান্ডা করে খেতে হবে। ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি খাওয়া যাবে না। ঠান্ডা পানি খেলে শরীর খারাপ হতে পারে। সবজির মধ্যে লাউ, পেঁপে, মিষ্টিকুমড়া ,কলা, পুঁইশাক, লাল শাক, সবুজ শাক খেতে হবে। গরুর মাংস খাসির মাংস এ সকল গরম জাতীয় খাবার কম খাওয়াই ভালো। আম কাঁঠাল এ ধরনের ফলগুলো গরম লাগে বেশি তবে ফলগুলো খাওয়া জরুরি কম কম করে হলেও খেতে হবে। দই, টক দই বেশি বেশি খেতে হবে।
রৌদ্রে থাকা অবস্থায় কি অবস্থায় থাকতে হবে
দৈনন্দিন জীবনে জীবন পরিচালনার জন্য কর্ম তো করতেই হবে। কর্ম না করলে জীবনে সফল হওয়া যাবে না। কাজ করবার জন্য অনেক দিন মজুর ভাইয়েরা কৃষক ভাইয়েরা সকলকে কাজ করতে হয় । রৌদ্রে থাকা অবস্থায় আমাদের ত্বকের অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যায় এজন্য রৌদ্র থাকা অবস্থায় আমাদেরকে কি করতে হবে তা আজ জানবো। গ্রীষ্মকালীন সময় জামাকাপড় সুতি কাপড় ও পাতলা কাপড় পড়তে হবে কাপড়ের রং গুলো হালকা রঙের হলে ভালো হয় যেমন সাদা । কালো রং বা কারো কোন রঙের পোশাক করা যাবে। কারন কারণ সূর্যের তাপে অতিরিক্ত গরম লাগে এই ধরনের পোশাকে । সান প্রটেক্ট ক্রিম ব্যবহার করতে হবে যে সকল জায়গায় রোদের আলো গায়ে লাগে। জামা কাপড় গুলো ফুল হাতা পোরতে হবে এবং ফুল প্যন্ট পরতে হবে ।
ত্বকের সমস্যা এবং সমাধান
গ্রীষ্মকালে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের চুলকানি বা ইনফেকশন এর সমস্যা হয়ে থাক । অতিরিক্ত ব্রদের কারণে আমাদের শরীরের চামড়ার অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে । সকল এ সকল সমস্যার সমাধান প্রাথমিকভাবে নিতে হবে তাতে যদি সমাধান না হয় তাহলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। গ্রীষ্মকালে গরমের কারণ অতিরিক্ত ঘাম হয়ে থাকে এই খামের কারণে শরীরের অনেক দুর্গন্ধ হয়। ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য অনেকে পারফিউম ব্যবহার করে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে পারফিউমের কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে আবারো দুর্গন্ধ বের হয় এজন্য প্রতিদিন একটি করে ডাব খেতে পারলে ঘামের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে। ইনফেকশন এবং চুলকানি এর প্রাথমিক চিকিৎসা হল । গোসলের সময় সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে লজ্জাস্থানের আশেপাশের অংশগুলোতে ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এবং চেষ্টা করতে হবে না পানি দিয়ে গোসল করা। এ সকল প্রাথমিক চিকিৎসা করার পরে সুস্থ না হলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় কি করতে হবে
যতই রোদ গরম হোক না কেন বাড়িতে তোদের হতেই হবে বাড়ি থেকে বের হতে গেলে কি কি করা লাগে তা আজ বিস্তারিত জানবো। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সব সময় ছাতা ব্যবহার করতে হবে যদি ছাতা ব্যবহার করা সম্ভব না হয় তাহলে বড় ধরনের ক্যাপ ব্যবহার করতে হবে। এবং মুখে এবং হাতে যে সকল জায়গা গুলো রোদের আলো পড়বে সে সকল জায়গা গুলোতে সান প্রটেক্ট ক্রিম লাগাতে হবে। ফুল হাতা জামা পড়তে হবে। এবং কিছুক্ষণ পরপর মুখমণ্ডল পানি দিয়ে ধুতে হবে। আশা করছি এই নিয়মগুলোই মেনে চললে ত্বকের কোন সমস্যা হবে না।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url