গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কি আপনি জানেন না জানলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। তাহলে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
আমরা অনেকেই লাউ খেতে পছন্দ করি বড় অনেকেই করি না ।যদি লাউয়ের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা থাকতো তাহলে লাউ সকলে পছন্দ করে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিত ও অপকারিতা
- লাউয়ের পুষ্টি উপাদান ও পুষ্টিগুণ
- লাউয়ের জুস কিভাবে বানায়
- লাউ খেলে কি ওজন কমে
- লাউ খেলে কি ঠান্ডা লাগে
- লাউয়ের জুস খাওয়ার উপকারিতা
- অতিরিক্ত গরমে লাউ কেন খাবেন
- লাউ শাকের উপকারিতা
- গর্ভ অবস্থায় লাউ শাঁক খাওয়া যাবে কি
- শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতাও অপকারিতা
আজকে আমরা জানবো গর্ভবতী অবস্থায় একজন মায়ের লাউ খাওয়াটা কতটা জরুরি। অনেক গর্ভবতী মহিলার রয়েছে যারা গর্ভাবস্থায় লাউ খায় ঠিকই কিন্তু লাউয়ের উপকারিতা সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। তাদের জন্যই আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা বিস্তারিত জানবো লাউ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আর দেরি না করি জেনে নিন লাউ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
গর্ব অবস্থায় মায়েদের প্রচুর গরম লেগে থাকে এজন্য তাদের লাউ খাওয়া উচিত। কারণ লাউ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পানি যা ড্রিহার্ডেশন থেকে রক্ষা করে থাকে । এবং গর্বের সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। যদি কোন মা গর্ভাবস্থায় সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন লাউ খায় তাহলে ডায়রিয়া জনিত রোগের হাত থেকে মুক্তি পাবে।
ডায়রিয়া জনিত সমস্যা হলে শরীরে পানির সমস্যা দেখা যায় এজন্য গর্ব অবস্থায় প্রচুর পরিমাণ লাও খাওয়া উচিত।এছাড়াও গর্ব অবস্থায় মায়েদের ইনফেকশনের সমস্যা হয়ে থাকে লাউ খেলে ইনফেকশন সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। লাউ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য অর্শ বা পাইলস থেকে থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
লাউয়ের পুষ্টি উপাদান ও পুষ্টিগুণ
লাউয়ের হয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, বি ও কিছু পরিমাণ ভিটামিন কে রয়েছে। তবে এতেই শেষ নয় রয়েছে পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম আয়রন এ ধরনের আরো অনেক পুষ্টিগুণ। যায় একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই উপকা। এছাড়াও রয়েছেন প্রচুর পরিমাণ অনেক উপাদানে ভরপুর। ভিটামিন সি রথ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে দাঁত ও মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে।
এবং গর্ভের সন্তানের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এবং ভিটামিন ডি শরীরের রক্ত চলাচল ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমাতে পারে। একজন মানুষের শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ডি থাকে তাহলে রাতের ঘুমের সমস্যা হবে না অনেকে আছে রাতে ঘুম আসে না তারা যদি নিয়মিত লাউ খায় তাহলে রাতের ঘুমের সমস্যা থেকে ঠিক হতে পারে।
লাউয়ের জুস কিভাবে বানায়
অধিকাংশ মানুষই লাউয়ের শুধুমাত্র তরকারি বানিয়ে করে খেয়ে থাকে। লাউ দিয়ে যেয়ে শুধু তরকারি খাওয়া যায় এটা সঠিক নয়। লাউ দিয়ে চুল বানিয়ে খাওয়া যায় যারা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি । লাউয়ের জুস বানানোর জন্য প্রথমে একটি কচি এবং স্বদেশ দেখে টাটকা লাউ নিতে হবে। লাউটি ভালোভাবে ধুয়ে টুকরো করে কেটে নিতে হবে ।
সামান্য পরিমাণ পুদিনা পাতা এবং লবণ লেবুর রস দিয়ে পিলিন্ডারে ব্লেন্ড করতে হবে। লবণটি আপনার চাহিদার মত দিতে পারবেন । যদি খেতে খারাপ লাগে প্রয়োজনে চিনি দিতে পারেন। এরপর কিছু পরিমাণ পানি দিয়ে ব্লেন্ড করলে তৈরি হয়ে যাবে লাভের জুস। লাউয়ের জুস অতিরিক্ত মোটা মানুষদের জন্য ওজন কমানোর সহজে উপায়। তবে একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ড এর রোগীর জন্য লবণ না দেওয়াটাই ভালো।
লাউ খেলে কি ওজন কমে
অতিরিক্ত স্বাস্থ্যবান মানুষদের জন্য লাউ একটি সুস্বাদু খাবার এবং ডায়েটের পাশ দুটোই একসঙ্গে করতে পারে। কারণ লাউয়ে প্রচুর পরিমাণ ফাইবারের সমৃদ্ধ একটি সবজি। যা খেলে পরে অনেক সময় পর্যন্ত ক্ষুধা লাগে না যা ওজন কমানোর জন্য একদম সঠিক উপায়। লাউয়ের দলের পরিমাণ বেশি এ কারণে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে । এতে অতিরিক্ত স্বাস্থ্যবান মানুষের অতিরিক্ত গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ।
লাউ থাকা ফাইভার হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আমাদের ওজন কমানোর জন্য খুবই উপকারী। লাউ খেলে খিদে কম লাগে এবং অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকা যা। এজন্য অতিরিক্ত স্বাস্থ্যবান মানুষের লাউ খাদ্য তালিকার মধ্যে রাখা উচিত সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন তবেই ওজন কমানো সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ রুই মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা
লাউ খেলে কি ঠান্ডা লাগে
লাউ খেলে ঠান্ডা লাগে না বরং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। আমাদের সমাজে লাউ খেলে ঠান্ডা লাগে এ কথা প্রচুর প্রচলিত রয়েছে কিন্তু এ ধারণাটি একদম ভুল।লাউ আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। লাউ আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের প্রচুর পরিমাণ পানি যোগান দেয়।
এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে গ্রীষ্মকালে লাউ শরীরকে আরাম দেয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য রোগ বালাই থেকে মুক্ত রাখে। অনেকে আবার মনে করে শীতকালে লাউ খেলে ঠান্ডা লেগে যাবে। কিন্তু ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল শীতকালে লাউ খেলে এটি আবার শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। এই জন্য গর্ভবতী মায়েদের শীতকালীন সবজির মধ্যে লাউয়ের তরকারি খাদ্য তালিকার মধ্যে রাখা উচিত। শুধু গর্ভবতী মায়েদের জন্যই নয় সাধারণ মানুষ এর জন্য খুবই উপকারী।
লাউয়ের জুস খাওয়ার উপকারিতা
লাউ কি জুস করে খাওয়া যায় এরকম ধরনের প্রশ্ন আমাদের সমাজে এখনো প্রচলিত। অনেকেরই ধারণা লাউ শুধুমাত্র তরকারির মাধ্যমে খাওয়া যায় কিন্তু ধারণাটাই সম্পূর্ণ ভুল। লাউয়ের জুস বানিয়ে খাওয়া যায় এর উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো। চলুন দেরি না করি লাউয়ের জুস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। লাউয়ের জুস চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
এই জুস পান করলে শরীরের ত্বকের ওপর বয়সের ছাপ করতে দেয় না এবং চুল মজবুত ও সিল্কি রাখতে সাহায্য করে। লাউয়ের পথের পরিমান ফাইবার থাকে এজন্য এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। হজম শক্তি ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। টক ও চুলের জন্য ভিটামিন মিনারেল সমৃদ্ধ লাভের জুস যা আমাদের ত্বককে মস্রৃণ করতে সাহায্য করে। শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়। এবং রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং রক্ত পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে।
অতিরিক্ত গরমে লাউ কেন খাবেন
গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরমের সময় আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ঘাম ঝরার কারণে প্রচুর পরিমাণ পানি শূন্যতায় ভুগতে হয়। লাউইয়ে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে এই পানি আমাদের শরীরের পানিশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে এবং শরীর ঠান্ডা রাখে। প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি থাকে যা শরীরের মধ্যে পানির সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত গরমে প্রচুর পরিমাণ ঘাম ঝরে থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য একটি উপায় সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন খাদ্য তালিকার মধ্যে লাল রাখা । লাউ এ রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন কে এবং ভিটামিন ই আরও পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ধরনের পুষ্টিগুণ যে আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ।তাহলে বুঝতেই পারছেন গ্রীষ্মকালে সুস্থ থাকার জন্য লাউ খাওয়াটা কতটা জরুরী।
লাউ শাঁকের উপকারিতা
দৈনন্দিন জীবনে লাউ খাওয়া যেমন জরুরী তেমনি লাউয়ের শাঁক খাওয়াও জরুরী। লাউ যেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে একইভাবে লাউয়ের শাঁক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শুধু তাই নয় ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রচুর পরিমাণ ভূমিকা আছে। এবং হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুবই উপকারী এটি হৃদরোগ ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
লাউয়ের শাঁক খেলে অনেকেরই আবার গ্যাস হয় তবে সবার ক্ষেত্রে নয়। গ্যাস হয় তার মানে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর খাবার তা কিন্তু নয় এটা খুব কম লোকএর হয়ে থাআর। এইজন্য ভয়ের কোন কারণ নেই। যে কোন খাবার অতিরিক্ত খেলে সমস্যা তা হবে এটাই স্বাভাবিক ।এজন্য সকল খাবারে পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। লাউয়ের সাক অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে এজন্য সব অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন খেতে হব।তবে পাওয়া যাবে লাউ শাঁকের উপসাকের।
আরো পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
গর্ভ অবস্থায় লাউ শাঁক খাওয়া যাবে কি
গর্ভবতী অবস্থায় একজন মায়ের প্রচুর পরিমাণ ও ভিটামিনের প্রয়োজন হয়ে থাকে। এজন্য যে সকল খবর রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও ফাইবার এ সকল খাবার বেশি বেশি খাওয়া উচিত। লাউয়ের শাঁকের রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, খনিজ এবং ফাইবার যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই উপকারী। যেহেতু গর্ভবতী অবস্থায় মায়েদের প্রচুর পরিমাণ রোগ হয়ে থাকে এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে লাউয়ের শাঁক খুবই উপকারী।
লাউ শাঁক রক্ত তৈরি করে এবং রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে নতুন রক্ত কণিকা তৈরি করে। গর্ভবতী অবস্থায় মেয়েরা মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলে এর এই লাভের স্বাদ মানসিক শক্তি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। আশা করছি বুঝতেই পারছেন লাউ শাঁক খাওয়ার উপকারিতা এবং গর্ব অবস্থায় খাওয়া যাবে কিনা। অবশ্যই খাওয়া যাবে তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না অতিরিক্ত খেলে বদহজমের সম্ভাবনা রয়েছে।
শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
উপরের আলোচনায় গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বলেছি।এবং আরো জেনেছি লাউ শাক এবং লাভের জুস এর উপকারিতা সম্পর্কে। লাউ শাকের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। যাবতীয় পুষ্টি গুন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
তাহলে আমরা নিশ্চয়ই এই পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছি গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আশা করছি এই পোস্ট থেকে আপনি লাউ খাওয়ার অনেকটা ধারণা পেয়েছেন। পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। কারণ আপনার কমেন্টের কারণে আমরা আরো উৎসাহিত হয়ে।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url