৫০ হাজার টাকায় ৭ টি ব্যবসার আইডিয়া

মনে করুন আপনার কাছে ৫০ হাজার টাকা আছে কিন্তু এই টাকাগুলো ব্যবহার করে কি ব্যবসা করবেন বুঝতে পারছেন না। এজন্য আজকে এ পোষ্টের মধ্যে আপনাদেরকে ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া দেওয়ার চেষ্টা করব।

আপনি যদি ব্যবসা করার জন্য কোন ধরনের জায়গা বা দোকান না পান। তাহলে খুব সহজেই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করা যায়। আপনার পুজি অনুযায়ী যেকোনো ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এ ধরনের প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে করা সম্ভব। যেমন ধরুন পোশাকের এর ব্যবসা করতে পারেন, বিউট প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। এ ধরনের ব্যবসা গুলো অনেক লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসা থেকে আপনি দ্রুত সাফল্য পেতে পারবেন।

  

এখন বর্তমান শহর বাজারে প্রতিটি গলিতে খাবার পৌঁছিয়ে দেওয়া খুব সহজ । আপনি চাইলে ৫০ হাজার টাকায় একটি ছোট ফুড ডেলিভারি সার্ভিস এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যেকোনো ব্যবসা করার জন্য প্রাথমিক কিছু পুঁজি বা টাকার প্রয়োজন হয়। আপনার পুঁজি যদি ৫০ হাজার টাকার কম হয় তাহলে আপনাকে বাইসাইকেলের মাধ্যমে ডেলিভারি শুরু করতে পারেন। ভবিষ্যতে ব্যবসা বড় হলে মোটরসাইকেল এর মাধ্যমে দিতে পারে। ফুড ডেলিভারি কাজের জন্য যে সকল সরঞ্জাম প্রয়োজন। একটি বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেল, একটি স্মার্ট ফোন এবং খাবার প্রস্তুত কারক হোম কুকের ব্যবস্থা করতে হবে। শহর বাজারে ব্যবসার ক্ষেত্রে এটি একটি লাভজনক ব্যবসা।

আপনার যদি গ্রাফিক ডিজাইনের দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বা আপনার যদি কোন গ্রাফিক দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার এর সাথে পরিচিত থাকেন তবে তাকে নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ৫০ হাজার টাকায় গ্রাফিক ডিজাইনের শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসা শুরু করতে যা প্রয়োজন একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ। এই ব্যবসা শুরু করতে হলে কিছু ক্লায়েন্ট প্রয়োজন যাদেরকে আপনি এই সার্ভিসটি প্রদান করবেন। এক ক্লায়েন্ট গুলো পেতে আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং করতে হবে। এই মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি দেশি এবং বিদেশী ক্লায়েন্ট পাবেন। যাদেরকে আপনি গ্রাফিক ডিজাইন সার্ভিস দিবেন। এটি খুব অল্প ইনভেসমেন্টে অধিক লাভজনক ব্যবসা। পরবর্তীতে আপনাকে কোন করতে হবে না শুধুমাত্র আপনার মেধা পরিশ্রম দিয়ে ব্যবসা করতে পারবে।

৫০ হাজার টাকা দিয়ে আপনি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারেন। আপনার নিজের ডিজিটাল মার্কেটিং সম্বন্ধে কিছুটা অভিজ্ঞতা থাকলে এটি খুব লাভজনক একটি ব্যবসা হবে আপনার জন্য। যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্বন্ধে খুব একটা ধারণা না থাকে তাহলে আপনার পরিচিত ডিজিটাল মার্কেটার থাকলে তার সাথে যোগাযোগ করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমানে বেশিরভাগ ব্যবসা অনলাইনের মাধ্যমে হচ্ছে। ব্যবসার উন্নতির জন্য ডিজিটাল মার্কেটার দের সাহায্য নিতে হয়। এক্ষেত্রে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার মার্কেটিং এজেন্সির মার্কেটিং করে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং সার্ভিস দিয়ে এ ব্যবসা করতে পারেন। 

বর্তমানে সেলুন বা পার্লার এর ব্যবসা খুব জনপ্রিয় এবং লাভজনক হতে পারে। আপনার যদি পরিচিত কেউ সেলুনের কাজে দক্ষ এমন কারো সাথে পরিচিত থাকেন তাহলে আপনি ৫০ হাজার টাকার মধ্যে একটি পার্লার বা সেলুন এর দোকান খুলতে পারে। এ ব্যবসা করার জন্য কিছু প্রয়োজন হবে জনপ্রিয় ও জনসংখ্যা বেশি হয় এমন একটি জায়গায় ছোটখাটো একটি দোকান এর ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর সেলুন বা পার্লারের আকর্ষণীয় কাজগুলোর উপর বিশেষ ছাড় দিতে হবে । এতে করে আপনার গ্রাহকের আপনার পার্লার বা সেলুনের উপর দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসা খুব দ্রুত লাভজনক হয়ে উঠবে।

ব্লগিং করার জন্য খুব একটা বেশি ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন নেই। অল্প কিছু টাকা হলেই ব্লগিং ব্যবসা করতে পারে। যদি আপনার ব্লগিং এর দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি এই ব্যবসাটি করতে পারেন। এ ব্যবসা করার জন্য যা প্রয়োজন যেমন ডোমেইন হোস্টিং এবং লেখালেখি করার জন্য সময়। ব্লগিংয়ের ব্যবসায় লস করা প্রশ্নই আসে না কারণ এটি সম্পূর্ণ নিজের পরিশ্রম ও জ্ঞান এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। এজন্য এ ব্যবসাটি লাভজনক ও জনপ্রিয় একটি ব্যবসা। আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি করতে পারেন। 

আপনি চাইলে ৫০ হাজার টাকায় প্রিন্টিং এবং কাস্টমাইজেশন এর ব্যবসা করতে পারেন। এটি বর্তমানে খুব জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি ব্যবসা। টি-শার্ট , মগ ,ব্যাগ, বা অন্যান্য আইটেমের ওপর প্রিন্টিং করে ইনকাম করা সম্ভব। এর জন্য খুব একটা বেশি ইনভেসমেন্ট এর প্রয়োজন হয় না। প্রথমের দিকে ক্রেতার চাহিদা কম হতে পারে তবে ধৈর্য ধরে ব্যবসাটি করতে পারলে। এবং ক্রেতার বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারলে এক সময় অবশ্যই ব্যবসা  লাভজনক হবে।

বাংলাদেশে প্রায় অধিকাংশ যুবক পড়ালেখা শেষ করে বাড়িতে বেকার বসে থাকে। আবার অনেকেই আছে ব্যবসা করার কথা চিন্তা করছে। কিন্তু কম পুঁজি হওয়ার কারণে ব্যবসা শুরু করার সাহস পাচ্ছে না। আজকের এই পোস্টটি তাদের জন্য। কিভাবে অল্প পুজিতে ব্যবসা করা যায় সেটা নিয়ে আজকের বিস্তারিত আলোচনা।

 প্রথমত আপনাকে চিন্তা করতে হবে ঠিক আপনি কি প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার যদি কোন ধারণা না থাকে তাহলে আপনি যেই প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা করবেন চিন্তা করেছেন । সে ধরনের প্রোডাক্টের দোকানে বা ডিলারের কাছে এক থেকে দুই মাসের জন্য চাকরি নিয়ে ওখানে কাজ করতে পারেন। কোম্পানি বা দোকানে কাজ করলে ব্যবসার সম্পূর্ণ ধারণা আপনার চলে আসেবে। 

শুধুমাত্র ৫০ হাজার টাকা থাকলে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। ব্যবসা করার জন্য  সবচেয়ে  গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল আপনার ক্রেতাকে বিশ্বাস করাতে হবে যে আপনি একদম প্রিমিয়াম ভালো মানের প্রোডাক্ট তাকে দিচ্ছেন। এই বিশ্বাসটি অর্জন করতে পারলে আপনার ব্যবসা দ্রুত উন্নতি করতে সাহায্য করবে।

আপনার কাছে যদি ৫০ হাজার টাকা না থাকে তাহলে আপনি চাইলে শুধুমাত্র ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ১৫ হাজার টাকায় বড় কোন ব্যবসা করা সম্ভব না কিন্তু ১৫ হাজার টাকায় কিছু লাভজনক ব্যবসা রয়েছে যা করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারেন।

ব্লগিংয়ের ব্যবসা করে আপনি খুব ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারেন । কম খরচে এ ব্যবসাটি শুরু করা যায়। এ ব্যবসা করতে শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের প্রয়োজন হবে এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে ঘরে বসে এই ব্যবসা করা যায়।

আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র নতুন উদ্যোক্তাকে উদ্দেশ্য করে লেখা। আপনি হয়তো ভেবেছিলেন এত কম টাকায় কি ব্যবসা করা যাবে বা কোন ব্যবসা করায় সম্ভব না। এ ধরনের চিন্তাভাবনা আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে। এ ধরনের চিন্তাভাবনা একদম ঠিক না আপনার কাছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা থাকলে উপরে দেওয়া ৭ টি ব্যবসার মধ্যে যে কোন একটি ব্যবসা আপনি করতে পারেন।

আজকের এই পোষ্টের মধ্যে ৫০ হাজার টাকায় ৭ টি ব্যবসার আইডিয়া দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি নতুন উদ্যোক্তা ও নতুন ব্যবসা করবে ভাবছে তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি অনেক উপকারে আসবে। উপকার পেয়ে থাকলে বা পোস্টি ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।