টনসিলের ফোলা কমানোর ১০টি ঘরোয়া উপায়

আপনি কি টনসিলের ফোলা কমানো ১০ টি ঘরোয়া  উপায় জানতে চাইছেন? যদি জানতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। টনসিল সাধারণত ঠান্ডা লাগা, অ্যালার্জি অথবা গলায় অতিরিক্ত চাপের কারণে হতে পারে । 
টনসিলের-ফোলা-কমানোর-১০টি-ঘরোয়া-উপায়
টনসিলের ফোলা কমানোর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো আপনার টনসিলের ফোলা অনেকটাই আরাম দিতে পারে। কিন্তু যদি টনসিলের ফোলা তিন থেকে চার দিনের মধ্যে যদি না কমে তাহলে  অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

পোস্টের সূচীপত্রঃ টনসিলের ফোলা কমানোর ১০ টি ঘরোয়া উপায়

টনসিলের ফোলা কমানোর  ঘরোয়া উপায়

টনসিলের ফোলা কমানোর  ঘরোয়া উপায় রয়েছে।, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি চাইলে খুব সহজেই ঘরোয়া উপায় দিয়ে টনসিলের ফোলা নিরাময় করতে পারবেন। এই রোগের লক্ষণ হল যদি গলার দুই পাশে সাদা বা হলুদ দাগ দেখা দেয়। কোন খাবার বা পানি গিলতে গিয়ে অনেক ব্যথা অনুভব হয়। এবং উচ্চ জ্বর ও কাঁপনি উঠে, প্রচন্ড মাথা-ব্যথা ও কান ব্যথা হয়, মুখে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ বা গলার কণ্ঠস্বর ভেঙ্গে গেলে আপনার বুঝতে হবে আপনার টনসিলের লক্ষণ দেখা দিয়েছে।

টনসিলের ফোলা কমানোর জন্য প্রথমে আপনাকে অবশ্যই এই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে। নিয়মগুলো হলো -অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত হাত ধরতে হবে এবং গার্গল অভ্যাস করতে হবে। এরপর ব্যক্তিগত কাপ, প্লেট, চামচ ব্যবহার করতে হবে। ধুলো -ধোঁয়া এড়িয়ে চলতে হবে।  ঠান্ডা পানি ও বরফ  এবং অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার সীমিত ভাবে খেতে হবে। এবং অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

টনসিলের ফোলা কমানোর জন্য গরম, তরল খাবার ও পানীয়

টনসিলের ফোলা কমানোর জন্য "গরম তরল খাবার ও পানি অনেক বেশি কার্যকর" একটি ঘরোয়া পদ্ধতি। কারণ "গরম- পানি তরল খাবার গলাকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে" এবং গলার ব্যথা কমায়। টনসিলের ফোলা জায়গায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
গরম তরল খাবার আমাদের শরীরের টনসিলের জন্য অনেক উপকারে একটি পথ্য এটি আমাদের শরীরের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। গরম তরল খাবার আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।
টনসিলের-ফোলা-কমানোর-১০টি-ঘরোয়া-উপায়
 টনসিলের ব্যথা ও ফোলা কমাতে সাহায্য করে। তাই টনসিল হলে এর ফোলা কমানোর জন্য অবশ্যই আপনাদের গরম তরল খাবার ও পানীয় গ্রহণ করতে হবে।গরম তরল যে সকল খাবার গ্রহণ করলে টনসিলের ফোলার জন্য অনেক উপকারে আসবে  আপনাকে চিকেন বা সবজিরপুর খেতে হবে কারণএগুলোতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও খনিজ যা আপনার গলাকে নরম করে এবং সহজেই আপনি খাবার গ্রহণ করতে পারবেন।

 আবার আপনি চাইলে হারবাল চা ও গ্রহণ করতে  যেমন-আদা তুলসী পুদিনা ক্যামোমাইল চা বলার জন্য অনেক উপকারী এগুলোর মাধ্যমে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। লেবু ও মধু একসঙ্গে মিশ্রিত করে এরপর গরম পানির সাথে গ্রহণ খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি গরম দুধে ও হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন এক্ষেত্রেও অনেক গুণ ফোলা কামাতে সাহায্য করে। আবার চাইলে আপনি ডাবের পানি হালকা গরম করেও খেতে পারেন।

টনসিলের ফোলা কমানোর জন্য লবণ- পানি দিয়ে গার্গল

টনসিলের ফোলা  কমানোর জন্য লবণ পানি দিয়ে গার্গল করা এটি একটি পরীক্ষিত ঘরোয়া উপায়। যা আপনার গলা থেকে জীবাণু  মুক্ত করতে সাহায্য করে লবন- পানি দিয়ে কেন গার্গল করা প্রয়োজন জানেন  লবন-পানি দিয়ে গার্গল করলে এন্টিসেপটিক গুন যা ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত সংখ্যা কমাতে অনেক সাহায্য করে। ফোলা  কমাতেও সাহায্য  করে। ব্যথা অনুভব অনেকটাই কম হয়। গার্গল  করার জন্য কিছু সঠিক পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো আপনাকে জানতে হবে সেগুলো হল-
  1. প্রথমে আপনাকে গরম পানি করতে হবে প্রায় এক গ্লাস পরিমাণ এবং পানি হালকা গরম করতে হবে। পানির তাপমাত্রা এমন হওয়া উচিত যেন আপনি মুখে নিতে পারেন এ তাপমাত্রা প্রায় ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নিতে হবে।
  2. গরম পানি করার পর সেই পানিতে আধা চা চামচ লবণ  দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
  3. এরপর আপনাকে উষ্ণ  লবণ পানিগুলো মুখে নিয়ে গার্গল করতে হবে প্রায় ১৫ ২০ সেকেন্ড।
  4. এভাবে প্রতিদিন করতে হবে দিনে তিন থেকে চারবার আপনি চাইলে সেই সকালে দুপুরে বিকেলে ও ঘুমানোর আগে পর্যন্ত গার্গল করলে আপনি সবথেকে বেশি উপকৃত হবেন।
আপনি চাইলে এক এক ফোঁটা লেবুর রস নিতে পারেন অথবা কিছু সামান্য পরিমাণে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি জীবানু ধ্বংস করতে আরো অনেক বেশি সাহায্য করে। তবে কিছু বিষয় অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, খুব বেশি পরিমাণে গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না কারণ গলা টিস্যু অতিরিক্ত গরম পানির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এবং ছয় বছর বয়সের চেয়ে কম হলে শিশুদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে । কারণ তারা গার্গল  করতে গিয়ে যদি গিলে ফেলে তাহলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন টনসিলের ফোলা কমানোর জন্য কিভাবে গার্গল করতে হবে।

টনসিলের ফোলা কমানোর জন্য মধু ও গরম পানি ব্যবহার

টনসিলের ফোলা কমানোর জন্য মধু ও গরম পানির ব্যবহার এটি আমাদের অতি পরিচিত একটি উপায় যা একটি প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়। মধুতে রয়েছে প্রচুর এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও  ইনফ্লামেটরি গুণ যা আমাদের শরীরকে ব্যথা ও প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। গরম বা হালকা গরম পানি গলাকে খুব সহজে আদ্র রাখেন এবং রোগ সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে চলুন জেনে নেওয়া যাক এর ব্যবহার পদ্ধতি-

  1. প্রথমে আপনাকে পানি এক গ্লাস কুসুম গরম পানি নিতে হবে এবং পানিতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে। তবে পানিটা যেন খুব গরম না থাকে এবং যে মধু মেশাবেন ও দুটি যেন একটি মধু হয়।
  2. এরপর অল্প অল্প করে চুমু দিয়ে পান করতে হবে। এটি দিনে অন্ততপক্ষে দুই থেকে তিনবার করা যেতে পারে।
আপনার যদি ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই মধুর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এগুলো করার পর যদি আপনার তিন থেকে চার দিনের মধ্যে খোলা ভাব না কমে ব্যথা না কমে তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এটি ঘরোয়া পদ্ধতি হলেও এটি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ঝাল তেল যুক্ত ও শক্ত খাবার এড়িয়ে চলা

টনসিলের ফোলা কমানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে অতিরিক্ত ঝাল, মসলা, অতিরিক্ত তেল যুক্ত এবং শক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার গলার সংবেদনশীল বাড়তি জ্বালা সৃষ্টি করতে সাহায্য করে ফলে ব্যথা ও ফোলা ভাব অনেক অংশে বেড়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই তেল, ঝাল যুক্ত ও শক্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে কারণ এটি হজমের কঠিন এবং গলা শুকিয়ে দিতে পারে। যা আপনার টনসিলের ফোলা এবং গলা ব্যথা আরো বেড়ে যাবে।

শক্ত ও কড়কড়ে খাবার অবশ্যই আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে কারণ গলা টিস্যু এতে ঘর্ষণ লাগলে এর ভোলা ভাব আরো অনেক বেড়ে যাবে। শক্ত খাবার বলতে বাদাম বা বিস্কুট কড়কড়ে বা কোন ভাজা খাবার এগুলো অবশ্যই আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। এই সকল খাবার গুলো এড়িয়ে চললে ফোলা কমানোর জন্য অনেকটা সহজ হয়ে দাঁড়াবে। তাই অবশ্যই টনসিলের ফোলা ভাব কমানোর জন্য তেল ঝাল যুক্ত অতিরিক্ত মসলা ও শক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

লজেন্স অথবা গলা নরম করার ট্যাবলেট

টনসিলের ফোলা অথবা ব্যথার নিরাময় করার জন্য অনেক ধরনেরই  লজেন্স পাওয়া যায়। এগুলো সাধারণত যে কোন ফার্মেসির দোকানে পাওয়া যায়। গলা নরম করার জন্য অনেক ধরনেরই গার্গল ট্যাবলেট পাওয়া যায় যেগুলো গলার ফোলা ভাব ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং জীবাণু মুক্ত করতে সাহায্য করে। তবে এ ধরনের লজেন্স ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খুব বেশিদিন খাওয়া উচিত নয় নিয়মিত পরিমাণের চেয়ে বেশি গ্রহণ করলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।


কার কার লজেন্স এটি সাধারণত গলার অতিরিক্ত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এগুলোর মধ্যে 
স্ট্রেপসিলস এটি গলার ব্যথা ও সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে এতে রয়েছে আন্টিসেপটিক 
উপাদান। তাই আপনারা চাইলে কমানোর জন্য এ ধরনের আরো কিছু লজেন্স রয়েছে যেগুলো আপনার গলার ব্যথা ও জীবাণুমুক্ত করতে সাহায্য করবে সেগুলো হল  ভিক্স লজেন্স, রিকোলা,
ফিশারম্যানস ফ্রেন্ড এইসব লজেন্স গুলো গলা ব্যথা ও জীবাণুমুক্ত করতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করা যাবে না। এগুলো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

ধূমপান ও ধোয়া এড়িয়ে চলা

টনসিল হওয়া অবস্থায় অবশ্যই আপনাকে ধূমপান ও ধোয়া এড়িয়ে চলতে হবে কারণ ধূমপান ও ধোঁয়া গ্রহণ করলেন গলার যে সকল শ্লেষ্মা ঝিল্লিকে তা অনেক বেড়ে যায় । টনসিলের গার্গল অথবা ফোলা সেরে উঠতে অনেক সময় লেগে যায়। তাই অবশ্যই ধূমপান ও ধোয়া এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। ধূমপানের ধোঁয়া ও বাতাসের ধুলো টনসিলের ফোলা  আরো বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক অংশে কমিয়ে দেয়। তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে চাইলে অবশ্যই ধূমপান ও ধোঁয়া এড়িয়ে চলতে হবে।

অতিরিক্ত ধূমপান ও ধোয়া শরীরে প্রবেশ করে এটি গলায় অতিরিক্ত জ্বালা সৃষ্টি করে এবং গলার চুলকানি আরো অনেক বেশি বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে যা যা করণীয়-
  • আপনাকে অবশ্যই একেবারে ধূমপান পরিহার করতে হবে।
  • ধুলোবালি বা ধোয়া যুক্ত পরিবেশে যাওয়া যাবে না
  • বাড়ির বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
  • এবং আপনার ঘরের ভেতরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস বুঝতে পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
তাই অবশ্যই আপনাকে টনসিলের ফোলা কমানোর জন্য ধূমপান ও ধোয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। ফলে আপনি দ্রুত সুস্থ হতে পারবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন ধূমপান ও ধোয়া পরিত্যাগ করা টনসিলের জন্য কতটা জরুরী।

ইমিউন সিস্টেম শক্ত রাখা

টনসিলের ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে অন্যতম হলো ইমিউন সিস্টেম শক্ত রাখা। কারণ ইমিউন সিস্টেম শক্ত না থাকলে আপনার শরীরে টনসিলের সংক্রমণ সর্দি অথবা কাশি এসব থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব না তাই অবশ্যই ইমিউন সিস্টেম শক্ত রাখার জন্য কিছু পুষ্টিকর খাবার ও নিয়মিত কিছু অভ্যাস মেনে চলতে হবে । তাহলে ইমিউন  সিস্টেম শক্ত রাখা সম্ভব। চলুন জেনে নিই সেই নিয়মগুলি-
  1. ইমিউন সিস্টেম শব্দ রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভিটামিন সি ও জিন সমৃদ্ধ খাবার প্রোটিন ও সবুজ শাকসবজি খেতে হবে যেমন- লেবু, কমলা, পেয়ারা, প্রোটিনের জন্য ডাল, মাছ, ডিম, দুধ ইত্যাদি এবং শাকসবজি পালং, ব্রোকলি, কলমি শাক ইত্যাদি এগুলো আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্ত রাখতে সাহায্য করে।
  2. ইমিউন সিস্টেম শক্ত রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে যেমন হালকা হাটা, যোগ ব্যায়াম, সাইক্লিং অথবা অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপ শরীর রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ইমিউনসিস্টেম শক্ত রাখতে সাহায্য করে।
  3. ইমিউন সিস্টেম শক্ত রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে যেমন-প্রতিদিন ঘুম শরীরের জন্য উপকার ও  প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরে হাইড্রেটেড থাকলে টক্সিন বের হয়ে যায় ফলে ও সে কাজ ঠিকমতো হয়।
  4. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ ও ধূমপান অথবা অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে কারণ মানসিক চাপ মানুষের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে ফেলে তাই শ্বাস ব্যায়াম অথবা আপনার অন্য কোন পছন্দের কাজ করতে পারেন। ধূমপান শ্বাসনালীর জন্য ক্ষতি করে তাই অবশ্যই ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম করা

কেন পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম দরকার জানেন? সামগ্রিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অথবা টনসিলের ফোলা কমাতে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। এটি আমাদের শরীরের জন্য রোগ সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে তাই ইমিউন সিস্টেম শক্ত রাখতে সাহায্য করে তাই অবশ্যই আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নেওয়া সকলের জন্য প্রয়োজন।
টনসিলের-ফোলা-কমানোর-১০টি-ঘরোয়া-উপায়
পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, প্রদাহ কমায় ,শরীরের শক্তি ফিরিয়ে আনে। পর্যাপ্ত বিশ্রামের জন্য সঠিক সময় হল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অবশ্যই প্রতিদিন রাতে ঘুম সাত থেকে আট ঘন্টা এবং কিশোরদের জন্য ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ও শিশুদের জন্য তাদের নিজ বয়স অনুযায়ী পর্যাপ্ত ৯ থেকে ১২ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। তবে দীর্ঘ সময় দিনের ঘুম এড়িয়ে চলতে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন পর্যাপ্ত বিশ্রাম শরীরের জন্য কতটা প্রয়োজন।

শেষ কথাঃ টনসিলের ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়

এতক্ষণ আমরা টনসিলের ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানলাম। আপনি যদি টনসিলের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য অনেক উপকারী হতে পারে । এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা টনসিলের ফোলা কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে কখন কিভাবে কি করতে হবে তা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। আপনি যদি টনসিলের ফোলা  কমাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে উপরের আলোচনা গুলো মেনে চলতে হবে।

আমার মতে আপনি যদি একজন টনসিলের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে উপরের আলোচনা গুলো সম্পূর্ণ সঠিক নিয়মে মেনে চললে আপনি অনেক উপকারে আসবে। এই পোস্টটিতে পরের তথ্যগুলো যেভাবে দেওয়া আছে সেই নিয়ম অনুযায়ী চললে অবশ্যই আপনি টনসিলের ফোলা থেকে আরাম পেতে পারেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ  বিষয় ।







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url